ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশের জনগণ অবহেলিত দুঃস্থ এতিম শিশুদের প্রতিপালনের দায়িত্ব গ্রহণে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের সকল ধর্মীয় জনগনেরই এতিম শিশুদের লালনপালনের জন্য বেসরকারিভাবে এতিমখানা পরিচালনা করে আসছে। বেসরকারি এসকল এতিমখানা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমাজসেবা অধিদফতর হতে সহযোগিতা প্রদান করা হয়। বেসরকারিভাবে এতিমখানাসমূহ প্রথমতঃ স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৬১ অনুযায়ী নিবন্ধন প্রদান এবং পরবর্তীতে নিবন্ধন প্রাপ্ত বেসরকারি এতিমখানাসমূহের শিশুদের প্রতিপালন, চিকিৎসা এবং শিক্ষা প্রদানের জন্য আর্থিক সহায়তা করা হয় যা ক্যাপিটেশন গ্রান্ট নামে পরিচিত। বর্তমানে সারা দেশে ৩ হাজার ৭ সাতশত ১০ টি বেসরকারী এতিমখানার ৭২ হাজার এতিম শিশুকে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রদান করা হচ্ছে। দরিদ্র এতিম শিশুদের মানবসম্পদে পরিনত করাই ক্যাপিটেশন গ্রান্টের প্রধান উদ্দেশ্য।
কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ
জেলা পর্যায়ে উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, রেজিস্ট্রেশন অফিসার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এবং শহর সমাজসেবা অফিসার মাঠ পর্যায়ের বেসরকারি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্রান্ট কার্যক্রম তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন।
সেবা
২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত কেশবপুর উপজেলার পাঁচটি বেসরকারি এতিমখানার মোট ০০ জন এতিম শিশু ক্যাপিটেশন গ্রান্ট জনপ্রতি ২০০০/- টাকা হারে প্রতি মাসে মোট ৫৮,০০০/- টাকা গ্রান্ট পেয়ে থাকেন।
বেসরকারি এতিমখানার নাম |
এতিম শিশুর সংখ্যা |
গ্রান্ট প্রাপ্ত এতিম শিশুর সংখ্যা |
প্রতি মাসে প্রাপ্ত গ্রান্ট ( টাকা) |
|
|
|
|
আমঝুপি আলিম মাদ্রাসা মহিলা হিফজখানা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং |
৪০ |
১৯ |
৩৮,০০০/- |
গোভীপুর দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা |
৩০ |
১০ |
২০,০০০/- |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস