পটভূমি:
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমকে জোরদারকরণের জন্য প্রতিটি হাসপাতালে আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত রোগীকল্যাণ সমিতি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যমান রয়েছে। নিবন্ধিত সমিতিগুলো মূলত হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমকে সার্বিক সহায়তা প্রদানসহ রোগীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে রোগীকল্যাণ সমিতির তহবিল সংগ্রহ ও সেবার মান উন্নয়নের জন্য পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এ পর্যন্ত মোট ৫১৮টি রোগীকল্যাণ সমিতি নিবন্ধিত হয়েছে।
বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ:
সমাজসেবা অধিদফতর
সেবা প্রদানকারী ব্যক্তি:
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, কেশবপুর, যশোর।
কারা সেবা পাবেন:
হাসপাতালে আগত ও ভর্তিকৃত গরীব, অসহায় ও দুস্থ রোগী যাদের চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করার সামর্থ্য নেই। রোগীকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে অসহায় রোগীদেরকে ঔষধ, রক্ত, বস্ত্র, ক্রাচ, হুইল চেয়ার, কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন প্রভৃতি বিষয়ে সহযোগীতা প্রদান করা হয়।
সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি:
১. সংশ্লিষ্ট রোগী হাসপাতালে ভর্তি হবার পরে নির্ধারিত ফরমে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, কেশবপুর, যশোর বরাবর আবেদন করবেন।
২. রোগীর আবেদনপত্র গ্রহণ করে রোগীকে কোন কোন ওষুধ কিনে দেওয়া যাবে সেটি নির্ধারণ করার জন্য রোগীকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কাছে পাঠাবেন।
৩. আবাসিক মেডিকেল অফিসার প্রয়োজনীয় ওষুধের নাম লিখে অনুমোদনের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাবর পাঠাবেন।
৪. উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তার সহকর্মীদের দিয়ে ওষুধ ক্রয় করে সংশ্লিষ্ট রোগী যে ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন, সেই ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেবেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস